January 15, 2025, 4:38 am

সংবাদ শিরোনাম
তেজগাঁও থানা ছাত্রদলের শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি সম্পন্ন শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি প্রজেক্টরে ভেসে উঠায় স্থানীয় জনতার প্রতিবাদ ঢাকায় দুই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করলেন সন্ত্রাসীরা: বেনাপোলে ভারতীয় ভয়ঙ্কর ট্যাপেন্টাডোল জব্দ মধুপুর উপজেলা মেম্বার ফোরামের উদ্যোগে তিন শতাধিক কম্বল বিতরণ লামায়-আলীকদম অনুপ্রবেশকালে ৫৮ মিয়ানমার নাগরিকসহ ৫ দালাল আটক শিবচরে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের লিফলেট বিতরন মধুপুর উপজেলা মেম্বার ফোরামের উদ্যোগে তিন শতাধিক কম্বল বিতরণ সেনাবাহিনীর অভিযানে নবীগঞ্জ থেকে দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার নাটোরে ফেন্সিডিলসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

গাড়ি দুর্ঘটনায় পুরানের ক্যারিয়ার শেষ হতে চলছিলো

গাড়ি দুর্ঘটনায় পুরানের ক্যারিয়ার শেষ হতে চলছিলো

ডিটেকটিভ স্পোর্টস ডেস্ক

প্রায় চার বছর পার হয়েছে। উইন্ডিজ ক্রিকেটার নিকোলাস পুরান এখন ক্রিকেট বল নিয়ে খেলতে পারছেন। কিন্তু চার বছর আগেও তার দুই পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়ানোরই কথা ছিলো না, ক্রিকেট খেলা তো দূরের।

শুক্রবার স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপে মাঠে নামার আগে নিজের সে দুঃসহ অভিজ্ঞতার বর্নণা দেন পুরান। পুরানের বলা ২০১৫ সালের সেই ঘটনা হুবহু নিচে দেওয়া হলো-

‘আমি অনুশীলন থেকে বাসায় ফিরছিলাম, হঠাৎ কেউ একজন আমাকে ধাক্কা দেয়। এর থেকে বেশি আমি আর কিছু মনে করতে পারি না। আমি যখন জেগে উঠি তখন আমার গারি ভেঙ্গেচুরে একাকার। এরপর অ্যাম্বুলেন্স আসে ও আমাকে সেখান থেকে বের করে। আমার প্রচণ্ড ব্যথা লাগছিলো।আমি শুধু তাদের কাছে চাইছিলাম আমাকে বের করুক।’

‘পরের দিন যখন আমি জেগে উঠি আমার দুই পা-ই অবশ হয়ে ছিলো। তারা নড়ছিলো না। আমি তাদের অনুভব করতে পারছিলাম না। ১২টা দিন আমি শুধু পেইনকিলার খেয়ে হাসপাতালে ছিলাম। ডাক্তার আমাকে বললো, সে সঠিক জানে না আমি আর ক্রিকেট খেলতে পারবো কিনা! সে বলতে পারেনি আমি আর কোনোদিন দৌড়াতে পারবো কিনা। আমার রক্তচাপ বেড়ে যাচ্ছিলো। আমি ভয় পাচ্ছিলাম। আমি শুধু প্রার্থণা করেছি যা আমাকে শক্তি দিয়েছে।’

সে সময় পুরানের দুটি অস্ত্রোপচার হয়। প্রথমটিতে তার বাম হাটুর ভাঙা প্ল্যাটিলা (বাটি) ঠিক করা হয়। দ্বিতীয়টিতে ডান পায়ের গোড়ালি ঠিক করে বসানো হয় যা একেবারেই বিচ্ছিন্ন ছিলো। বাম পাশের পুরোটাই নাড়ানো সম্ভব ছিলো না যা তাকে ছয় মাসের জন্য হুইল চেয়ারে বসিয়ে দেয়।

‘মানসিকভাবে এটা আমার জন্য ভয়ংকর ছিলো। থেরাপি নেওয়ায়ও সহজ ছিলো না। প্রথমত আমার পেশি বেশ দুর্বল ছিলো। তাই আমি আমার হাঁটু, গড়ালি কিছুতেই ভর দিতে পারছিলাম না। ফিজিও চেষ্টা করলেও আমি প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করতাম। তবে এই দুর্ঘটনা আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। একজন ভালো মানুষ, একজন ভালো ক্রিকেটার বানিয়েছে।’

পরিবারকে তার উপর ভরসা রাখতে বলেন পুরান। আর সেই ভরসাতেই আবারও ক্রিকেটে ফেরেন তিনি। ২০১৬ সালে জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হয় টি-টোয়েন্টি দিয়ে।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর